রাজধানীতে বাড়ি আত্মসাতের জন্য ছোট ভাই আলমগীর বড় ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিএনপি সমর্থিত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ( সাবেক ৫২, বর্তমানে ১৮ নাম্বার ওয়ার্ড) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর আওয়ামীলীগ সরকারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপি ও নেতাকর্মীদের অত্যাচার, নির্যাতন এবং মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে একপর্যায়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এখনো তার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর তাদেরকে দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। ভয় ভীতি ও মামলা দিয়ে মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীরের পরিবারকে কোন ঠাসা করে রেখেছে। তিনি রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন নির্যাতনে শিকার হন ও একের পর এক মামলা মোকদ্দমা হয় তার বিরুদ্ধে। জাহাঙ্গীর জানান, আমি বিএনপি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে পদ পদবি নিয়ে ছিলাম। তিনি জানান, গত ২০০৯ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা দলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। স্থানীয় জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয় দারপ্রান্তে আনছিল। হঠাৎ করে আওয়ামীলীগের পদপ্রার্থী সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হামলা চালায় , ভাঙচুর, ও গুলি ছুড়ে এবং ভোট বানচাল করে। এক পর্যায়ে ওইসব ভোটকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই বছরে ১৬ মার্চ পূনঃ নির্বাচন দেয় । তখন আওয়ামীলীগ প্রার্থী সমর্থকরা লগি বৈঠা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তারা কেন্দ্র দখল করে নিজেরাই ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে। জাহাঙ্গীর বলেন, আওয়ামী লীগের সরকারের আমল থেকে আমি আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বিতারিত করে । সে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ৯০ নাম্বার সেন্ট্রাল রোডের দুই কাঠা জায়গায় উপর ছয় তলা বাড়িটি একাই আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, ছোট ভাই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রকারীদের ছত্রছায়া পুরো বাড়িটি আত্মসাৎ ও ভোগ দখল করার জন্য সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাথে যোগসাজস করে আমাকে বাড়ি হইতে উৎখাত করা জন্য আমার নামে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্নভাবে নির্যাতন ভয়ভীতি ও হত্যা মামলা দেয়। এবং তারা পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করার জন্য খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। আমি এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে আমার পরিবারবর্গ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দিনা তিপাত করতে থাকি। আবার ছোট ভাই আলমগীর গত ২০১৭ সালে নিজে বাদী হয়ে আমার ও আমার স্ত্রী নামে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই আলমগীর ৯০ নাম্বার সেন্ট্রাল রোড বাড়িটি দখল নেওয়ার জন্য বিভিন্ন থানায় জিডি ও মামলা করে আমার নামে। কিন্তু আলমগীর নাম দে আমার বাবা আমার নামে জিডি করেছে। পরে আমার বাবা এ কে আহমদ হোসেন কার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন জিডি ও মামলা করি নাই। এ ব্যাপারে একে আহমদ হোসেন গত ২০১১ সালে ১৩ই ফেব্রুয়ারি একটি হলফনামায় তিনি অঙ্গীকার করে গেছেন। তিনি ফলকনামায় বলেছেন জিডি ও মামলা এসব ভুয়া বানোয়াট ও মিথ্যা। তারপরও ছোট ভাই আলমগীর শান্ত হয়নি তাদের প্ররোচনায় আবারো ওই বাড়ির বিষয়ে কোটে মামলা করেন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। সে মামলায় দীর্ঘদিন চলার পর বিজ্ঞ আদালত সবকিছু তদন্ত করে দেখে ওই মামলাটি খারিজ করে দেন। বিজ্ঞ আদালত আরো বলেন পৈত্রিক সম্পত্তি ওয়ারিশ হিসেবে চারতলার ফ্ল্যাটটি জাহাঙ্গীর বসবাস করবেন । এরপর চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করেন । পিটিশন মামলার নাম্বার ১১১। মামলাটি চলমান রয়েছে । তারপরও মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীরসহ তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানির মূলক ওই ষড়যন্ত্রকারীদের দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার ও অনলাইন পোর্টালে বিভিন্ন ধরনের অপবাদ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে । জাহাঙ্গীর আরো বলেন, ৯১ সালে আমার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরক সুইডেন নিয়ে আসি। পরে আমি আবার বাংলাদেশে আসি। এরপর স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি ও আমার পরিবারকে নিয়ে সুইডেন চলে যাই । বর্তমানে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সহ অন্যান্য ভাই-বোনেরা সুইডেন বসবাস করছেন । আমি ও আমার পরিবার সবাই সুইডেনের নাগরিতা পেয়েছি। স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হওয়ার পর আবার আমি বাংলাদেশে আসি। ওই বাড়িটি আত্মসাৎ করার জন্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সুইডেন থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের দিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র ও অন্যায় করে যাচ্ছে। পরিবারের অভিযোগে সূত্রে জানা যায় , মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর দেশ-বিদেশে আন্ডারওয়্যার জড়িত এবং বিভিন্ন অপকর্ম সাথে জড়িয়ে দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন । প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত তার এই অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আমি এইসব হয়রানি থেকে পরিত্রাণ চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *