গাজী আশরাফ হোসেন খেলোয়াড়দের রাজনীতিতে দেখতে চান না

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিব আল হাসানের প্রসঙ্গে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, আমার বিশ্বাস নিশ্চয়ই এমন কিছু প্রক্রিয়া থাকবে—কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি না…।’

তিনি অবশ্য দায়টা পুরোপুরি খেলোয়াড়দের দিতে চান না, ‘গতকাল হয়তো সোহান (নুরুল হাসান) বলেছে। একই সঙ্গে আমি যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গায়ই হতে হবে। একটা খেলোয়াড়ের জন্য যেমন, জাতীয় দলের সঙ্গে থাকাকালে তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন কি না…তার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরই বা উচিত কি না যে একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া। তাঁরা তো দেশের জন্যই কাজ করেন। ইটস নট আ ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক। আপনি শুধু খেলোয়াড়কে দোষ দিতে পারবেন না।

নিজের অবস্থান জানিয়ে এর একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেন, ‘যদি খেলা থাকে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকে, তাহলে আপনি কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন। একটা নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা যদি থাকে, তাহলে মনে হয় ভালো। তাহলে কোনো খেলোয়াড় রাজনীতিতে যাওয়ার আগে চিন্তা করবেন, তাঁর অগ্রাধিকার কোথায়। এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত।’

বাংলাদেশ দলের প্রথম অধিনায়ক এ কথাও বলেছেন, ‘আপনি যদি জাতীয় সম্পদ হন, আপনাকে সে পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক লগ্নি থাকে। তারপর খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে যখন আরও অনেক কিছু দেওয়ার থাকে, তখন আপনি যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেন…হ্যাঁ আপনি যদি আগে থেকেই বিল্ডআপ করে থাকেন, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু আপনি যদি আপনার বর্তমান অবস্থানের কারণে শিফট হয়ে যান, সেটা হলে দেশই বঞ্চিত হয়।’

সাকিবেরও খেলোয়াড়ি–জীবনের পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়াকে ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন গাজী আশরাফ হোসেন, ‘মানুষ ভুল করে। তার শোধরানোর সুযোগও আছে। সাকিব যদি তার পথচলায় কোনো ভুল করে থাকে, তার নিজেরই বোঝার সুযোগ হবে, নিজেকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসবে।’

সাকিবের আগে রাজনীতিতে এসেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নড়াইল থেকে সংসদ সদস্য হওয়ার পর ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দেন তিনি। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সম্প্রতি যে সংসদ বিলুপ্ত করে দিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, মাশরাফি ছিলেন সেটিরও সদস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *